সত্যি কথা বলতে গেলে MBBS ভর্তির সময় জানতাম না পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতেই হবে, আবার পোস্ট গ্রাজুয়েশন এ আসার আগে জানতাম না আমার ডিসিপ্লিনে ৯-১০ টা সাব-স্পেশালিটি হবে 😁😁😁🤔🤔🤔।
তখন এটাও জানতাম না বিসিএস করে কেরানী হতে হবে। বিসিএস যখন হল তখন এটাও জানতাম না যে বেতন পেতে কত বেগ পেতে হয়।
এই পোস্ট ১৫ বছর আগে জানতে পারলে এতক্ষন নিজ ইচ্ছা মত বেল টিপে চা খেতে পারতাম😂😂😂, থাও করতে পারতাম কিনা আমার জানা নাই।
আসলে কিছুই জানি না তাই উপরমহল যা বলে সেই ঘানি টানি—
তুমি কি ডাক্তার হবে?
ভেবে বলছো?
সত্যিই ভেবে বলছো?
ভেবে বলছো?
সত্যিই ভেবে বলছো?
আসো না একটু ভাবিঃ
---------------------
১।
তুমি কি জান...২০১৯ এর খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী..ফেল না করলে MBBS শেষ করতে তোমার ৭ বছর লাগবে...এরপর উচ্চতর ডিগ্রী নিতে আরো ৫ বছর !
২।
এর মধ্যে এমএস/এমডি কোর্সে ভর্তি হতে MBBS পাশের পর ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে...মানে ৭+২+৫ = ১৪ বছর!
৩।
এখানেই শেষ কথা নয়... তুমি হয়ত জাননা... উচ্চতর ডিগ্রীতে পাশের হার ১% বা তারও কম... সেক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রীতে গড়ে অতিরিক্ত ৩-৫ বছর লাগবে... এর মধ্যে বিয়ে/গ্রামে ২ বছর পোস্টিং মিলে... তোমার আরো ৩ বছর নষ্ট হবে... এবার তবে যোগফল দাঁড়াল... ১৪+৩+৩=২০ বছর! ...
৪।
এরপরেও কথা আছে... তুমি পাশ করা মাত্রই বিশেষজ্ঞ হতে পারবেনা... নিদির্স্ট বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে তোমাকে আরো ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে...!!! সর্বশেষ ফলাফল ২০+৫ = ২৫-২৭ বছর।
৫।
হিসাবটা এতো সোজাও না...কারণ উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য চান্স পাওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর বিষয়....চান্স পেতেই যদি দেরি হয়...তবে বুঝতেই পারছো...এ হিসেব কোথায় গিয়ে ঠেকবে!
৬।
আচ্ছা তুমি কি এইসএসসি পাশের পর এই ২৫ বছর নিজেকে পড়ালেখায় নিয়োজিত রাখতে প্রস্তুত?
---------------------
১।
তুমি কি জান...২০১৯ এর খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী..ফেল না করলে MBBS শেষ করতে তোমার ৭ বছর লাগবে...এরপর উচ্চতর ডিগ্রী নিতে আরো ৫ বছর !
২।
এর মধ্যে এমএস/এমডি কোর্সে ভর্তি হতে MBBS পাশের পর ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে...মানে ৭+২+৫ = ১৪ বছর!
৩।
এখানেই শেষ কথা নয়... তুমি হয়ত জাননা... উচ্চতর ডিগ্রীতে পাশের হার ১% বা তারও কম... সেক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রীতে গড়ে অতিরিক্ত ৩-৫ বছর লাগবে... এর মধ্যে বিয়ে/গ্রামে ২ বছর পোস্টিং মিলে... তোমার আরো ৩ বছর নষ্ট হবে... এবার তবে যোগফল দাঁড়াল... ১৪+৩+৩=২০ বছর! ...
৪।
এরপরেও কথা আছে... তুমি পাশ করা মাত্রই বিশেষজ্ঞ হতে পারবেনা... নিদির্স্ট বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে তোমাকে আরো ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে...!!! সর্বশেষ ফলাফল ২০+৫ = ২৫-২৭ বছর।
৫।
হিসাবটা এতো সোজাও না...কারণ উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য চান্স পাওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর বিষয়....চান্স পেতেই যদি দেরি হয়...তবে বুঝতেই পারছো...এ হিসেব কোথায় গিয়ে ঠেকবে!
৬।
আচ্ছা তুমি কি এইসএসসি পাশের পর এই ২৫ বছর নিজেকে পড়ালেখায় নিয়োজিত রাখতে প্রস্তুত?
যদি হ্যাঁ হয়, তবে শোনঃ
---------------------------
১।
যতদিনে তুমি MBBS পাশ করবে ততদিনে তোমার সহপাঠিরা ছাত্রত্ব শেষ করে...পেশায় মনোযোগ দিবে।
২।
তুমি যখন উচ্চতর ডিগ্রীতে ভর্তির সুযোগ পাবে... ততদিনে তোমার সহপাঠিরা নতুন প্রমোশন পাবে...বেল চেপে পিয়নকে দিয়ে চা আনাবে।
---------------------------
১।
যতদিনে তুমি MBBS পাশ করবে ততদিনে তোমার সহপাঠিরা ছাত্রত্ব শেষ করে...পেশায় মনোযোগ দিবে।
২।
তুমি যখন উচ্চতর ডিগ্রীতে ভর্তির সুযোগ পাবে... ততদিনে তোমার সহপাঠিরা নতুন প্রমোশন পাবে...বেল চেপে পিয়নকে দিয়ে চা আনাবে।
তুমি কি আরো জানো?
১।
তোমার পিতা সংসারের দায়িত্ব তোমার হাতে তুলে দেয়ার প্রহর গুণতে গুণতে একসময় ইহলিলা সাঙ্গ করবেন।
২।
তুমি একসময় অর্থাভাবে খেতে পারবে না... যখন তোমার অর্থাভাব চলে যাবে তখন তোমার শরীরে ডায়াবেটিস... প্রেসারের মতো রোগ বাসা বাধবে... তখনো তুমি খেতে পারবে না !
৩।
সামাজিক সব আয়োজন থেকে তুমি থাকবে দূরে... ধীরে ধীরে মানুষ থেকে অসামাজিক জীবে পরিণত হবে।
৪।
সন্তানের বেড়ে উঠা দেখার মতো সময়ও তোমার হাতে থাকবেনা।
৫।
মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ডাক্তারদের মধ্যেই বেশি !
৬। এতো কিছুর বিনিময়ে সম্মান....হাহাহাহা...বেশিরভাগ সময় গালিই কপালে জুটবে!
১।
তোমার পিতা সংসারের দায়িত্ব তোমার হাতে তুলে দেয়ার প্রহর গুণতে গুণতে একসময় ইহলিলা সাঙ্গ করবেন।
২।
তুমি একসময় অর্থাভাবে খেতে পারবে না... যখন তোমার অর্থাভাব চলে যাবে তখন তোমার শরীরে ডায়াবেটিস... প্রেসারের মতো রোগ বাসা বাধবে... তখনো তুমি খেতে পারবে না !
৩।
সামাজিক সব আয়োজন থেকে তুমি থাকবে দূরে... ধীরে ধীরে মানুষ থেকে অসামাজিক জীবে পরিণত হবে।
৪।
সন্তানের বেড়ে উঠা দেখার মতো সময়ও তোমার হাতে থাকবেনা।
৫।
মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ডাক্তারদের মধ্যেই বেশি !
৬। এতো কিছুর বিনিময়ে সম্মান....হাহাহাহা...বেশিরভাগ সময় গালিই কপালে জুটবে!
তোমার এটাও জানা উচিতঃ
---------------------------
১। প্রতি বছর ৮০ হাজারের মত ছাত্র মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেয়... মাত্র ৭- ১০ হাজারের মত চান্স পায়...
২। যারা চান্স পায় না... তাঁদের অনেকেই অন্য পেশায় যোগ দেয়...ডাক্তার না হওয়ার আফসোস তাঁদের অন্তরে থাকলেও... একসময় তাঁদের অনেকেই ডাক্তার বিদ্বেষী হয়ে উঠবে...উঠতে বসতে তারা তোমার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করবে!
---------------------------
১। প্রতি বছর ৮০ হাজারের মত ছাত্র মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেয়... মাত্র ৭- ১০ হাজারের মত চান্স পায়...
২। যারা চান্স পায় না... তাঁদের অনেকেই অন্য পেশায় যোগ দেয়...ডাক্তার না হওয়ার আফসোস তাঁদের অন্তরে থাকলেও... একসময় তাঁদের অনেকেই ডাক্তার বিদ্বেষী হয়ে উঠবে...উঠতে বসতে তারা তোমার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করবে!
তুমি হয়ত জান নাঃ
-------------------------
১। বিদেশ প্রীতি আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি......খেয়াল করলে দেখবা এসব লোক চিকিৎসার জন্য বিদেশের সরকারী হাসপাতালে যায় না... যায় বেসরকারীগুলোতে... তারাই কথায় কথায় তোমাকে কসাই বলতেও কুন্ঠা বোধ করবে না... ভারতের কথাই ভাব...নচিকেতা ভারতের লোক...ডাক্তারদের কসাই বলেই তিনি বিশেষ স্থান দখল করেছেন...অথচ, তাঁর গান ভারতীয় ডাক্তারদের উদ্দেশ্যেই ছিল।
২। এদেশের বিবেকবানরা চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান না রাখলেও পান্ডিত্য ফলাতে পিছপা হয় না।
৩। শুধু মাত্র পাশ করছে না বলে প্রতিদিন কতজন যে আত্মহত্যার চেস্টা করে। বেসরকারী মেডিকেলে এ প্রবণতা অনেক বেশি। অনেক টাকা খরচ করে মধ্যাপ্রাচ্যে গিয়ে অনেকে আর আসতে চায় না। এতো টাকা নস্ট করে দেশে ফিরে কি করবে সে ভয়ে ফেরারী আসামীর মত লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করে অনেকে...বেসরাকারী মেডিকেলেও তাই...এত্তো টাকা খরচ করে অনেকে ফেল করতে করতে আত্মহত্যার দ্বার প্রান্তে গিয়েও ফিরে আসে...এই ভেবে যে মা-বাবার এতো টাকা খরচ করলাম...ডাক্তার না হলে কি হবে !
৪। নিরাপদ কর্মস্থলের অভাবে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চিকিৎসকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
৫। এদেশে রোগীর চেয়ে ডাক্তারের সংখ্যা বেশি...ঔষধের দোকানদার ডাক্তার...পল্লি চিকিৎসক বড় ডাক্তার...পাশের বাড়ীর সব জান্তা আপা তাঁর চেয়েও বড় ডাক্তার...ঘরে ঘরে কত শত ডাক্তার...এখন যোগ হয়েছে গুগল ডাক্তার...গুগলে সার্চ দিয়েই যারা তোমার উপর পান্ডিত্য ফলাবে! এদেশের সব লোকই ডাক্তার...এদের মধ্যে কেউ কেউ এমবিবিএস পাশ করে!
-------------------------
১। বিদেশ প্রীতি আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি......খেয়াল করলে দেখবা এসব লোক চিকিৎসার জন্য বিদেশের সরকারী হাসপাতালে যায় না... যায় বেসরকারীগুলোতে... তারাই কথায় কথায় তোমাকে কসাই বলতেও কুন্ঠা বোধ করবে না... ভারতের কথাই ভাব...নচিকেতা ভারতের লোক...ডাক্তারদের কসাই বলেই তিনি বিশেষ স্থান দখল করেছেন...অথচ, তাঁর গান ভারতীয় ডাক্তারদের উদ্দেশ্যেই ছিল।
২। এদেশের বিবেকবানরা চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান না রাখলেও পান্ডিত্য ফলাতে পিছপা হয় না।
৩। শুধু মাত্র পাশ করছে না বলে প্রতিদিন কতজন যে আত্মহত্যার চেস্টা করে। বেসরকারী মেডিকেলে এ প্রবণতা অনেক বেশি। অনেক টাকা খরচ করে মধ্যাপ্রাচ্যে গিয়ে অনেকে আর আসতে চায় না। এতো টাকা নস্ট করে দেশে ফিরে কি করবে সে ভয়ে ফেরারী আসামীর মত লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করে অনেকে...বেসরাকারী মেডিকেলেও তাই...এত্তো টাকা খরচ করে অনেকে ফেল করতে করতে আত্মহত্যার দ্বার প্রান্তে গিয়েও ফিরে আসে...এই ভেবে যে মা-বাবার এতো টাকা খরচ করলাম...ডাক্তার না হলে কি হবে !
৪। নিরাপদ কর্মস্থলের অভাবে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চিকিৎসকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
৫। এদেশে রোগীর চেয়ে ডাক্তারের সংখ্যা বেশি...ঔষধের দোকানদার ডাক্তার...পল্লি চিকিৎসক বড় ডাক্তার...পাশের বাড়ীর সব জান্তা আপা তাঁর চেয়েও বড় ডাক্তার...ঘরে ঘরে কত শত ডাক্তার...এখন যোগ হয়েছে গুগল ডাক্তার...গুগলে সার্চ দিয়েই যারা তোমার উপর পান্ডিত্য ফলাবে! এদেশের সব লোকই ডাক্তার...এদের মধ্যে কেউ কেউ এমবিবিএস পাশ করে!
জানো কি?
--------
ইন্টার্নি ২ বছর হওয়ার প্রস্তাব আসছে...
এক বছর নিজ মেডিকেলে....এক বছর গ্রামে!
শিক্ষানবিশ হয়ে গ্রামে গিয়ে কি করবা ভেবেছো?
শিখবে কার কাছে....রোগীকেই বা কিভাবে সাহায্য করবে!
তবে এক বছর গ্রামে থাকলে কর্তাদের মেলা সুবিধা...গ্রামে ডাক্তার থাকেনা এ অপবাদ কমে যাবে...কারণ তুমি সে শুন্যস্থান পূরণ করবে!
--------
ইন্টার্নি ২ বছর হওয়ার প্রস্তাব আসছে...
এক বছর নিজ মেডিকেলে....এক বছর গ্রামে!
শিক্ষানবিশ হয়ে গ্রামে গিয়ে কি করবা ভেবেছো?
শিখবে কার কাছে....রোগীকেই বা কিভাবে সাহায্য করবে!
তবে এক বছর গ্রামে থাকলে কর্তাদের মেলা সুবিধা...গ্রামে ডাক্তার থাকেনা এ অপবাদ কমে যাবে...কারণ তুমি সে শুন্যস্থান পূরণ করবে!
তুমি প্রস্তুত তো!
তুমি কি জানো?
১।
সব পেশাই সেবামূলক...কিন্তু তোমাকে সেবাদানকারীর তকমা লাগিয়ে দেয়া হলেও দিনশেষে তুমি তিরস্কারই পাবে!
২।
সব স্টুডেন্টই ট্যাক্স প্রাপ্ত...সবচেয়ে বেশি পায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো...তবুও শুধুমাত্র তোমার ঘাড়ে অপবাদ ঝুলবে-ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার!
১।
সব পেশাই সেবামূলক...কিন্তু তোমাকে সেবাদানকারীর তকমা লাগিয়ে দেয়া হলেও দিনশেষে তুমি তিরস্কারই পাবে!
২।
সব স্টুডেন্টই ট্যাক্স প্রাপ্ত...সবচেয়ে বেশি পায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো...তবুও শুধুমাত্র তোমার ঘাড়ে অপবাদ ঝুলবে-ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার!
এবার বল... তুমি কি সত্যিই ডাক্তার হতে চাও?
তবে দোয়া করি...
তুমি ডাক্তারই হও!
কোশ্চেন ইজ...এটা দোয়া না বদদোয়া???
তবে দোয়া করি...
তুমি ডাক্তারই হও!
কোশ্চেন ইজ...এটা দোয়া না বদদোয়া???
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন